fbpx
ই-কমার্স ওয়েবসাইট-ঘরে বসে ব্যবসা।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট-ঘরে বসে ব্যবসা।

একজন ই-কমার্স বা যেকোন ব্যবসায়ীর জন্য ওয়েবসাইট কতটা জরুরী?

আপনার ব্যবসাকে সহজে সবার কাছে পৌছে দেওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আপনার পন্যের বা সার্ভিসের বিস্তারিত খুব সহজেই আপনি অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনার ব্যবসার পরিধি প্রসারন এবং ব্যবসার উন্নতিতে ওয়েবসাইট এর গুরুক্ত অবর্ননীয়।

ব্যবসায়ীদের ওয়েবসাইট খোলার কিছু কারনঃ

**আপনার পন্যের বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপনের সহজ মাধ্যম ওয়েবসাইট। আপনি খুব সহজে আপনার পন্যের বা সার্ভিসের বিস্তারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারবেন। এর মাধমে খুব সহজেই আপনার পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কে মানুষ অবহিত হবে।

**আপনার ওয়েবসাইট হবে আপনার পন্য বা সার্ভিস বেচাকেনা এবং যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। এখান থেকেই আপনি কাস্টমারের মতামতও নিতে পারবেন।

**এখন ইন্টারনেটের যুগ। মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বকে জয় করেছে। একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন বিশ্বব্যাপী।

**ওয়েরসাইটের মাধ্যমে আপনার পন্যের ছবি এবং মূল্য প্রকাশ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কাস্টমার আপনার পন্য এবং পন্যের দাম সম্পর্কে অবগত থাকবে।

**ব্যবসা ছোট পরিসরে অথবা বড় পরিসরে যেভাবেই শুরু করেন না কেন, আপনার ব্যবসায়ের জন্য ওয়েবসাইট অপরিহার্য। আপনার ব্যবসাকে একটি আদর্শ রূপ দিতে এবং একটি ব্যান্ডে পরিনত করতে ওয়েবসাইট খুবই গুরুক্তপূর্ন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে সাধারন কিছু প্রশ্ন থেকে থেকেই যায়। যেমনঃ-

১) ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগে?
২) কতটুকু কম্পিউটারে দক্ষ হতে হবে?
৩) কেমন খরচ হতে পারে খরচ?

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগেঃ
১। ডোমেইন
২। ওয়েব হোস্টিং
৩। প্ল্যাটফর্ম (কাস্টম ডিজাইন অথবা সিএমএস)
৪। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে
৫। ওয়েবসাইট এর নিরাপত্তা

ডোমেইন ও হোস্টিংঃ

আপনার একটি ব্যবসা, অর্গানাইজেশন, ব্যক্তিগত, নিউজ পোর্টাল বা অন্য কোন সার্ভিস এর জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে প্রথমে আপনার একটি ডোমেইন প্রয়োজন হবে। ডোমেইন টি হোস্ট করার জন্য একটি ভাল মানের হোষ্টিং প্রয়োজন হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত আমাদের দেশেও এখন ভাল মানের অনেক ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি আছে। এই সব কোম্পানি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ভাল সার্ভিস প্রদান করছে। তবে আপনাকে ভাল মানের ডোমেইন হোস্টিং যাচাই বাচাই করে ভাল মানের কোম্পানি থেকে আপনার ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে। ভাল মানের কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং না কিনলে আপনি নানা রকম সমস্যার সন্মুখীন হতে পারেন।

আসুন প্রথমে জানি ডোমেইন কি?

আপনি একটি ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে ইন্টারনেটে আপনাকে একটি এড্রেস বা ডোমেইন কিনতে হবে। ডোমেইন একটা নাম যা আপনার ওয়েবসাইট কে আইডেন্টিফাই করে। ডোমেইন নেম মানুষের নামের মতই। একটি মানুষের নাম তার পরিচয় বহন করে, তেমনি একটা ডোমেইন নেম একটা ওয়েবসাইট এর পরিচয় বহন করে। পার্থক্য হল একটি নাম একাধিক মানুষের হতে পারে, তবে ডোমেইন নেম ইউনিক, একটি ডোমেইন পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ডোমেইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এড্রেস যার মাধ্যমে বাবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইট টি খুজে পাই। যেমন, ajkerdeal.com,daraz.com.bd , arhostbd.com ইত্যাদি।

ডোমেইন কেনার আগে যে ব্যাপার গুলো খেয়াল করা উচিতঃ

**কোন ধরনের ওয়েবসাইট বানাবেন সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ .COM ডোমেইন সবচেয়ে পছন্দ করে। তাই ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে .COM আগে বিবেচনায় রাখা উচিৎ তারপর অন্যগুলো।

**প্রোভাইডের কাছ থেকে ডোমেইন কেনার আগে জেনে নিবেন কন্টোল প্যানেল দিবে কিনা। না দিলে তার কাছ থেকে নিবেন না।

**ডোমেইন নেম সহজে মনে থাকে এবং অল্প অক্ষরের হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। ডোমেইন নেম সুন্দর না হলে মানুষ মনে রাখবেনা, তাই উদ্ভট ডোমেইন নেম পরিহায্য।

**কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী বা ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডের কোম্পানির সাথে ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ডোমেইন না মিলে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

**লোভনীয় অফারে ডোমেইন কেনার আগে অফার সম্পর্কে ভালভাবে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

এবার জানি হোস্টিং কি?

কোন তথ্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ভিজিটরকে জানাতে হলে, ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে, প্রয়োজনীয় ছবি আপলোড করতে হবে, প্রয়োজনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এই তথ্য গুলো আপলোড করার জন্য একটি নিদিষ্ট জায়গার প্রযোজন হয়, এই জায়গার নামই হল হোষ্টিং।

হোস্টিং কেনার আগে যে ব্যাপার গুলো মনে রাখা উচিতঃ

**প্রথমে খেয়াল করবেন যে কোম্পানী থেকে হোস্টিং কিনবেন সেই কোম্পানী মার্কেটে নতুন কিনা। তাদের সামগ্রিক অবস্থা কেমন। তাদের কাস্টমারদের রিভিউ দেখবেন।

** হোস্টিং এর প্যাকেজ গুলো ভাল্ভাবে দেখে নিন।

** হোস্টিং রিনিউ খরচ কত সেটা ভাল্ভাবে জেনে নিবেন।

**ওয়েবসাইট বানানোর পূর্বে আপনার হোস্টিং এর বাজেট করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য কতটুকু স্পেস দরকার, প্রতিমাসে কেমন ট্রাফিক থাকবে মানে কতটুকু ব্যান্ডউইথ দরকার এই গুলো হিসেব করে আপনার হোস্টিং বাজেট করতে হবে।

**হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপটাইম দেখে নিতে হবে। কারন আপনার সাইট কত সময় লাইফ থাকবে তা আপটাইমের উপর নির্ভর করে। হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আপটাইম খুবই গুরুক্তপূর্ন ব্যাপার।

**ভাল সাপোর্ট দেখে হোস্টিং নিবেন। ২৪/৭ সাপোর্ট দেই এমন কোম্পানী থেকে হোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

**আপনার লিনাক্স বা উইন্ডোজ কোন ধরনের হোস্টিং লাগবে সেটা বুঝে নিবেন।

**মানি ব্যাক গ্যারান্টি দিবে কিনা ভালভাবে জেনে নিবেন। অনেক কোম্পানী ৩০ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টি দেয়।

**সার্ভারের ওভারলোড এমন কোন কোম্পানী থেকে হোস্টিং নিবেন না। এতে আপনার ওয়বসাইট লোড হতে বেশি সময় লাগবে।

** ওয়েবসাইট এর সর্বাধিক নিরাপত্তা দিবে এমন কোম্পানি থেকে কিনবেন।

প্ল্যাটফর্মঃ
আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার উপর নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইট কোন প্লাটফর্মে বানাতে হবে। সিএমএস এ টেম্পলেট প্রি বিল্ড থাকে। এখান থেকে পছন্দনীয় টেম্পলেট দিয়ে সিএমএস ওয়েবসাইট বানানো হয়। আর যদি নিজের পছন্দ মত টেম্পলেট বানিয়ে ওয়েবসাইট বানান তাইলে কাস্টম ডিজাইন করতে হবে।

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েঃ
যদি ক্যাশঅন ডেলিভারি দেন তাহলে অনলাইন পেমেন্ট দরকার নেই। তবে অনলাইন পেমেন্ট নিতে হলে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে নিতে হবে। কিছু কোম্পানি অনলাইন পেমেন্ট মেথড গেটওয়ে প্রদান করে। যেমনঃ easypayway.com, sslcommerz.com.bd, shurjopay.com

কতটুকু কম্পিউটারে দক্ষ হতে হবেঃ
ওয়েবসাইট মেইন্টেন এর জন্য আপনাকে কম্পিউটারে খুব বেশি অভিজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বেসিক ব্যবহার জানতে হবে। তাছাড়া অনেক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি আপনাকে স্বল্প পরিসরে ওয়েবসাইট মেইন্টেন প্রশিক্ষন দিবে।

কেমন খরচ হতে পারে খরচঃ
ওয়েবসাইট বানানোর খরচ নির্ভর করে আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে রাখতে চান কিনা, হোস্টিং স্পেস কতটুকু লাগবে ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ডোমেইন প্রতিবছর ৯০০-১০০০ টাকা, হোস্টিং ২০০০ টাকা থেকে শুরু(আপনার স্পেস কত টুকু লাগবে এর উপর নির্ভরশীল) হোস্টিং শুরুতে কম লাগলেও পরে যখন প্রডাক্ট এড হবে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে, ওয়েবসাইট ২০০০০ টাকা থেকে শুরু (আপনার কেমন ওয়েবসাইট চান তার ওপর নির্ভরশীল), অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ৮০০০-২০০০০ টাকা।

Chat with us