ই-কমার্স কি? কিভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো মানের ডোমেইন ও হোস্টিং কিনবেন?
আপনার ব্যবসাকে সহজে সবার কাছে পৌছে দেওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আপনার পন্যের বা সার্ভিসের বিস্তারিত খুব সহজেই আপনি অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনার ব্যবসার পরিধি প্রসারন এবং ব্যবসার উন্নতিতে ওয়েবসাইট এর গুরুক্ত অবর্ননীয়।
ফেসবুক পেজ ব্যবসার একটা অন্যতম মাধ্যম আমাদের দেশে। একটা ফেসবুক পেজ খুলেই অনেকে ব্যবসা শুরু করে দেয়। একটা ফেসবুক পেজ থাকলেই মনে করে তা ব্যবসার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু একটা ফেসবুক পেজ কখনোই একটা ব্যবসাকে নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিতি দিতে সক্ষম না। এই কারনে আপনার অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার জন্য প্রয়োজন একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
ই-কমার্স কি?
ই-কমার্স এর পূর্ন অর্থ হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স । সাধারনত, ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য হলো এমন একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম ত এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বাণিজ্য কাজ পরিচালনা করে। যেমন- অনলাইন শপিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ইত্যাদি পদ্ধতি হলো ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য।
ডোমেইন কেনার আগে যে ব্যাপার গুলো খেয়াল করা উচিতঃ
→ কোন ধরনের ওয়েবসাইট বানাবেন সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ .COM ডোমেইন সবচেয়ে পছন্দ করে। তাই ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে .COM আগে বিবেচনায় রাখা উচিৎ তারপর অন্যগুলো।
→ প্রোভাইডের কাছ থেকে ডোমেইন কেনার আগে জেনে নিবেন কন্টোল প্যানেল দিবে কিনা। না দিলে তার কাছ থেকে নিবেন না।
→ ডোমেইন নেম সহজে মনে থাকে এবং অল্প অক্ষরের হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। ডোমেইন নেম সুন্দর না হলে মানুষ মনে রাখবেনা, তাই উদ্ভট ডোমেইন নেম পরিহায্য।
→ কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী বা ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডের কোম্পানির সাথে ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ডোমেইন না মিলে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
→ লোভনীয় অফারে ডোমেইন কেনার আগে অফার সম্পর্কে ভালভাবে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
হোস্টিং কেনার আগে যে ব্যাপার গুলো মনে রাখা উচিতঃ
→ প্রথমে খেয়াল করবেন যে কোম্পানী থেকে হোস্টিং কিনবেন সেই কোম্পানী মার্কেটে নতুন কিনা। তাদের সামগ্রিক অবস্থা কেমন। তাদের কাস্টমারদের রিভিউ দেখবেন।
→ হোস্টিং এর প্যাকেজ গুলো ভাল্ভাবে দেখে নিন।
→ হোস্টিং রিনিউ খরচ কত সেটা ভাল্ভাবে জেনে নিবেন।
→ ওয়েবসাইট বানানোর পূর্বে আপনার হোস্টিং এর বাজেট করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য কতটুকু স্পেস দরকার, প্রতিমাসে কেমন ট্রাফিক থাকবে মানে কতটুকু ব্যান্ডউইথ দরকার এই গুলো হিসেব করে আপনার হোস্টিং বাজেট করতে হবে।
→ হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপটাইম দেখে নিতে হবে। কারন আপনার সাইট কত সময় লাইফ থাকবে তা আপটাইমের উপর নির্ভর করে। হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আপটাইম খুবই গুরুক্তপূর্ন ব্যাপার।
→ ভাল সাপোর্ট দেখে হোস্টিং নিবেন। ২৪/৭ সাপোর্ট দেই এমন কোম্পানী থেকে হোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
→ আপনার লিনাক্স বা উইন্ডোজ কোন ধরনের হোস্টিং লাগবে সেটা বুঝে নিবেন।
→ মানি ব্যাক গ্যারান্টি দিবে কিনা ভালভাবে জেনে নিবেন। অনেক কোম্পানী ৩০ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টি দেয়।
→ সার্ভারের ওভারলোড এমন কোন কোম্পানী থেকে হোস্টিং নিবেন না। এতে আপনার ওয়বসাইট লোড হতে বেশি সময় লাগবে।
→ ওয়েবসাইট এর সর্বাধিক নিরাপত্তা দিবে এমন কোম্পানি থেকে কিনবেন।