হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি?
কোন তথ্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ভিজিটরকে জানাতে হলে, ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে, প্রয়োজনীয় ছবি আপলোড করতে হবে, প্রয়োজনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এই তথ্য গুলো আপলোড করার জন্য একটি নিদিষ্ট জায়গার প্রযোজন হয়, এই জায়গার নামই হল হোষ্টিং।
হোস্টিং প্রধানত চার প্রকার। যেমনঃ
১। শেয়ারড হোস্টিং
২। রিসেলার হোস্টিং
৩। ভিপিএস হোস্টিং
৪। ডেডিকেটেড হোস্টিং
১। শেয়ারড হোস্টিংঃ শেয়ার্ড হোস্টিং হচ্ছে একটা কম্পিউটারে একটা হার্ড ডিস্ক থাকবে সে হার্ড ডিস্ক এর সব হোস্টিং স্পেস ইউজার দের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া।
আমি নিজের মত করে একটা উদাহরন দেই। আমরা একটা বিল্ডিং কে একটা সার্ভার এর সাথে তুলনা করতে পারি। ধরেন অনেকের একটা বিল্ডিং কেনার সামর্থ্য থাকে না বা তার পুরো বিল্ডিং এর প্রয়োজন নেই। তার পরিবারের সদস্য অনুযায়ী বাসা প্রয়োজন। ভাড়াটিয়া দের চাহিদা অনুয়ায়ী বাড়িওয়ালা একটি বিল্ডিং কে একাধিক ফ্লাটে (ফ্লোরগুলোকে) ভাগ করে ভাড়াটিয়ারের কাছে ভাড়া দেন। ঠিক তেমনি ছোট ছোট ব্যবসায়ী দের একটা সার্ভার কেনার প্রয়োজন নেই কারন এত পরিমান হোস্টিং তাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তারা হোস্টিং স্পেস কিনে ব্যবহার করে। আর তাদের চাহিদা অনুয়াযী হোস্টিং ব্যবসায়ীগন শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজ বানিয়ে বিক্রি করেন।
আমাদের ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ গুলো দেখতে ক্লিক করুন।
২। রিসেলার হোস্টিংঃ রিসেলার হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর মতই। একটা সার্ভার থেকে রিসেলারের চাহিদা মত সে ছোট ছোট হোস্টিং প্যাকেজ (শেয়ার্ড হোস্টিং) বিক্রি করবে এমন সুযোগ সুবিধা করে প্যাকেজ বানিয়ে দেওয়া যায়। সেখান থেকে সে তার ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেজ বানিয়ে বিক্রি করতে পারে।
উদাহরন স্বরুপ বলতে পারি, আমাদের অনেকের সামর্থ্য থাকে না একটা পুরো বিল্ডিং কিনে ফেলার বা ভাড়া নেওয়ার। তেমনি অনেক ছোট ব্যবসায়ী আছে তাদের বেশি ক্রেতা নেই বা একটা সার্ভার কিনে ব্যবসা করার মত সামর্থ্য নেই। তখন তারা অন্য হোস্টিং কোম্পানি থেকে রিসেলার নিয়ে ক্রেতার চাহিদা মত প্যাকেজ বানিয়ে বিক্রি করে। এক কথায় বলতে পারি হোস্টিং রিসেলিং করে।
৩। ভিপিএস হোস্টিংঃ ভিপিএস এর পূর্ন অর্থ ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (Virtual Private Server)। একটি ভিপিএস হল একটি সার্ভারের একটি চাইল্ড স্পেস যা একটি সম্পূর্ণ সার্ভারের বৈশিষ্ট্য। এর অর্থ এটির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং কনফিগারেশন রয়েছে। এই সবগুলি একটি একক শক্তিশালী সার্ভারের মধ্যে রয়েছে। প্রতিটি সার্ভারে একাধিক ভিপিএস অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে।
৪। ডেডিকেটেড হোস্টিংঃ আগেই বিল্ডিং এর কথা বলেছি। একটা বিল্ডিং কে আমরা ডেডিকেটেড হোস্টিং বা সার্ভারের সাথে তুলনা করতে পারি। ডেডিকেটেড হোস্টিং বা সার্ভার বেশ ব্যয়বহুল। আর এটা মেইন্টেন্ট করার জন্য বেশ কিছু দক্ষতার প্রয়োজন আছে। যাদের ওয়েবসাইট এর জন্য অনেক বেশি হোস্টিং স্পেস এর প্রয়োজন এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন তারা ডেডিকেটেড হোস্টিং বা সার্ভার ব্যবহার করেন। ডেডিকেটেড হোস্টিং বা সার্ভার সাধারনত হোস্টিং ব্যবসায়ীরা বেশি ব্যবহার করেন।