fbpx
ব্র্যান্ডিং কি? ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

ব্র্যান্ডিং কি? ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

“ব্র্যান্ড” (Brand) শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। ব্র্যান্ড হল এমন একটা প্যারামিটার যা কোনো বিক্রেতা বা বিক্রেতাগোষ্ঠীর পণ্য ও সেবার নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তোলে এবং প্রতিযোগীদের চেয়ে নিজেদেরকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করে।

কান্তারের হিসাবে বিশ্বব্যাপী সেরা ব্র্যান্ডের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে আছে কোকাকোলা। বিশ্বের ৪১ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে কোকাকোলা। একেকজন বছরে গড়ে প্রায় ১৩ বার কোকাকোলা কিনেছে। যখন আমাদের গরম লাগে তখন আমরা বলি একটু কোক বা পেপসি পান করতে পারলে ভাল হত। কোক বা পেপসি দুইটাই কিন্তু কোমল পানীয়। আমরা এটা বলিনা কোমল পানীয় পান করতে পারলে ভাল হত। ভাল করে খেয়াল করে দেখুন কোক বা পেপসি অথবা অন্যান্য পানীয় কোম্পানি গুলো নিজেদের নিজস্বতাকে এমন ভাবে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে কোমল পানীয় বলতে আমরা কোক বা পেপসি বা অন্যান্য পানীয় কোম্পানী গুলোর নামকে বুঝি। এটাই ব্রান্ডিং এর শক্তি।

ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য:
ব্র্যান্ডিং আর মার্কেটিং সম্পূর্ন এক না হলেও একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। মার্কেটিং এ আমরা টার্গেটেড কাস্টমারকে পণ্য ক্রেনার জন্য উদবুদ্ধ করার চেষ্টা করি। আমাদের পণ্য সেরা, এটাতে আপনার এই সেই উপকার হবে, আমরা সবার থেকে আলাদা ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে আমরা কাস্টমারকে পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্র্যান্ড এভাবে তার ব্রান্ডিং করে না। ব্র্যান্ড তার কাস্টমারকে পুশ না করে পুল করে। ব্র্যান্ড নিজের পণ্যের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে প্রলুব্ধ না। ব্র্যান্ড কাস্টমারের কাছে পন্যে বা সার্ভিসের নিজস্বতা, কি ধরনের পণ্য বা সেবা তারা দিচ্ছে, তাদের পণ্য বা সেবার বৈশিষ্ট্য কি ইত্যাদি। ব্র্যান্ড কাস্টমারের কাছে গিয়ে পণ্য কিনতে বলে না বরং কাস্টমার নিজেই আকৃষ্ট হয়ে ব্র্যান্ড এর কাছে যায় পণ্য কিনতে।

আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসায়ী হোন তাহলে ০২ ভাবে আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন। ০১. পণ্যের ব্র্যান্ডিং ০২. অনলাইন শপের ব্র্যান্ডিং। আপনার পণ্যগুলো যদি একই ক্যাটেগরির হয় তাহলে তাহলে পণ্যের ব্র্যান্ডিং করতে পারেন। আর পণ্য যদি ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে সেক্ষত্রে আপনার অনলাইন শপটিকেই ব্র্যান্ডিং করার চেষ্টা করতে পারেন। অনলাইন শপ ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড নাম সিলেক্ট করা বেশ গুরুক্তপূর্ন। এই ক্ষেত্রে ভুল করা চলবে না। আপনি যে সেবা বা পণ্য নিয়ে কাজ করছেন তার সাথে নামটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নতুবা অনেক অসুবিধা হতে পারে ব্র্যান্ডিং এ। নাম নির্ধারন এর পরে আপনাকে ব্যবসার জন্য একটা স্লোগান নির্বাচন করতে হবে। স্লোগান আপনার পণ্য বা সেবার মান ও বৈশিষ্ট কাস্টমারের কাছে তুলে ধরবে। যেমন আমার প্রতিষ্ঠানের স্লোগান “কমপ্লিট ওয়েব সল্যুশন”, নোকিয়া ব্র্যান্ড এর স্লোগান “কানেক্টিং পিপল”। এর পর ব্যবসার জন্য একটা সুন্দর লোগো তৈরী করুন। যেটা কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষন করবে। ব্রান্ডিং এর জন্য লোগো খুবই গুরুক্তপূর্ন তাই সব সময় লোগো টা প্রফেশনাল লোগো ডিজাইনার দিয়ে করানোর চেষ্টা করুন।

এরপর অনলাইন ব্যবসার জন্য অতিব গুরুক্তপূর্ন একটা ভাল মানের ওয়েবসাইট বানাতে হবে। অন্যের ওয়েবসাইট ডিজাইন কপি না করে নিজের পণ্যের বা সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত একটা ইউনিক ওয়েবসাইট বানানোর চেষ্টা করবেন। ব্রান্ডিং করতে আহামরি টাকা লাগে বিষয় টা এমন নয়। সাধ্যের মধ্যেই সঠিকভাবে চেষ্টা করলেই ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন ইনশআল্লাহ।

আমাদের ওয়েবসাইট প্যাকেজগুলো দেখতে ভিসিট করুন।

Chat with us